ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সোহরাওয়ার্দী কলেজের তিন ভবনের দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ

আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশনার সময়: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩৫ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৪৯

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে শিক্ষার্থীরা। মাত্র তিনটি ভবনে এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স মিলে প্রায় ৮ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থী পোড়াশোনা করছে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। ধসে পড়তে পারে যেকোনো সময়।

ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নতুন এবং পুরান ভবনের দেয়াল এবং ছাদের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকটি ক্লাসরুমের ছাদের অনেকাংশ খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। এছাড়াও ভবনের পিলারের মধ্যে ফাটল চোখে পড়েছে। তিনটি ভবনের মধ্যে ১টি ৩ তলা পুরাতন ভবন, ১টি ৩ তলা নতুন ও ১টি ৫ তলা নতুন ভবন। যার মধ্যে ৩ তলা পুরান ভবনটি এবং ৩ তলা নতুন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু দিন আগেও ক্লাস চলাকালে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ক্লাসরুম এবং অর্থনীতি বিভাগের ক্লাসরুমের ছাদের কিছু অংশ খসে পড়ে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নতুন ভবন তৈরি না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করতে হবে। একটা দুর্ঘটনা না ঘটলে হয়তো আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না। তারা আরও বলেন, এমন একাধিক ডিপার্টমেন্ট আছে, যেগুলোতে একটি ক্লাসে দুটো ডিপার্টমেন্টের ক্লাস নিতে হয়। সেই হিসাবে সপ্তাহে ৩ দিন করে ক্লাস নিতে পারে একটি ডিপার্টমেন্ট। এর মধ্যে থাকে অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের ক্লাস। তাই দেখা গেছে, সপ্তাহে ২-৩ দিনের বেশি ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময় সিলেবাস শেষ না করে আমাদের পরীক্ষায় বসতে হয়, যার ফলে রেজাল্ট খারাপ হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহসীন কবিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজের তিনটি ভবনের মধ্যে দুটোই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। এর মধ্যে নতুন যে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, তা করা হয়েছিল বিএনপি সরকারের আমলে। ওই সময় ভবনটি ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ৩ তলা সম্পন্ন করা হয়েছিল। আমি আশার পর ক্লাস সংকট থাকার কারণে চেয়েছিলাম উপরে আরও দুই-তিন তলা বাড়ানো যায় কিনা। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম ভবনটিতে আর বাড়ানো হলো যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। তাই আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। আর আরেকটি যে পুরাতন ভবন রয়েছে তা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

নতুন করে কোনো ভবনে উঠানোর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়ে দিয়েছি। এবং নতুন ভবনের বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, খুব শীঘ্রই আমরা একটা সুখবর পাবো।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ