বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নতি’ প্রতিপাদ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপিত হয়েছে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে স্বাধীনতা চত্বর হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিমসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা র‍্যালিতে অংশ নেন।

র‌্যালি শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের ফলে আধুনিক প্রযুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) ফলে বিশ্ব প্রবেশ করতে চলেছে নতুন এক বৈপ্লবিক যুগে, যার নাম দেওয়া হয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (4th Industrial Revolution)। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবে প্রবেশ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্যপুত্র, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ভিশনারি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তোলার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।

ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আধুনিক, স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা দেখেছিলেন তা আজ আর শুধু স্বপ্ন নয়; বরং বাস্তবতা। বর্তমান সরকারের আন্তরিক সহায়তায় দেশের প্রতিভাবান তরুণ প্রজন্ম আমাদের এক নতুন যুগে প্রবেশ করাতে চলেছে। এখন আমাদের যার যার অবস্থানে আত্মনিয়োগ করে এই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর