সারাদেশের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ক্যাম্পাস ও হলগুলো মেতে উঠেছে বিশ্বকাপ উন্মাদনায়। ক্যাম্পাসে ও আবাসিক হলগুলোর দেয়ালে পছন্দের দলের পতাকা অঙ্কন থেকে শুরু করে নিজ দলের জার্সি পরিধান করে খেলা দেখা। খেলার দেখার সময় বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। পছন্দের দলের জয়ের পর এবং অপছন্দের দলের হারের পর পতাকা ও বাঁশি নিয়ে মিছিল বের করা -এসব এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
বুটেক্স ক্যাম্পাসে প্রবেশ পথে ঢুকতেই চোখ পড়ছে বড় বড় গ্রাফিতি ও দেয়ালিকা। যেখানে চোখে পড়ার মতো রয়েছে- তারকা ফুটবলার ব্রাজিলের নেইমার, সিলভা, সান্তোস জুনিয়র, আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জার্মানির ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের মনোক্রোম্যাটিক আর্ট। সঙ্গে আঁকা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইব।
গ্রাফিতির আরেক অংশে দেখা মেলে ফুটবলারের পায়ে কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা, যা ওই দেশের ফুটবলের নান্দনিকতা প্রদর্শনকে প্রতিভাসিত করে। বুটেক্সের অন্যতম ক্লাব ‘আর্টেক্স’-এর উদ্যোগে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়।
বুটেক্সে বেশিরভাগ সমর্থকই ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার। এ ছাড়াও আছেন জার্মানি, পর্তুগাল, স্পেন ও ফান্সের মতো শক্তিশালী দলের ভক্তরা।
হলগুলোর টিভি রুমে খেলা দেখার সময় গোলের পরে ভয়ংকর রকম শব্দে পুরো হল প্রকম্পিত হয়। স্লোগান ধরে ভক্তরা, জড়িয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের সাথে বাকযুদ্ধে।
গেলো রাতে ব্রাজিলের হারের পরে ব্রাজিলের ভক্তদের মনক্ষুন্ন হওয়া এবং ফেসবুকে হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস চোখে পড়ার মতো। ব্রাজিল দলের এক ভক্ত বলেন, ‘নেইমারের জন্য খারাপ লাগছে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও জিততে পারলো না। ব্রাজিলের দলের খেলোয়াড়রা সাধারণত যেভাবে খেলে আজ সেভাবে খেলেনি। তাছাড়া ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিলো না।’
পরের ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার শ্বাসরুদ্ধকর জয় অনেক ভক্তকে কান্না করিয়ে ছেড়েছে। ভক্তরা গভীর রাতে বের করেছেন মিছিল। ভামোস আর্জেন্টিনা, ভামোস মেসি, স্লোগানে মেতে উঠেছেন মেসি ভক্তরা।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ