রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মৃৎশিল্প ও ভাষ্কর্য বিভাগের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্থপতি ময়নুল আবেদিন। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর দেশাত্মবোধক গান ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে নৃত্য পরিবেশন করেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিভাগের ১০ শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মৃৎশিল্পের হাজেরা খাতুন মিষ্টি, নিশাত তাসনিম, আয়েশা আক্তার আঁখি, নাশির আলম, ফারহানা তাসনীম মিম, রাজিয়া সুলতানা। ভাস্কর্জ ডিসিপ্লিনের হৃদয় কুমার সূত্রধর, তামান্না ইয়াসমিন, অমিত ভট্টাচার্য। এছাড়া বনিজুল হক স্মৃতি পুরষ্কার পেয়েছেন তানভীর আহমেদ জয় (মৃৎশিল্প) ও সায়েমা ফেরদৌস সিফা (মৃৎশিল্প)।
আয়োজকরা জানান, বিভাগের মোট ৬১ জন শিক্ষার্থীর ৭১টি শিল্পকর্ম এই প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। শিল্পকর্মগুলো কাঠ, পাথ, সিমেন্ট, মোম ও ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি করা। এছাড়া কিছু স্ক্রেচও রয়েছে। সারা বছর অ্যাকাডেমিক ও ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীরা এই শিল্পকর্মগুলোর কাজ করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, চারুকলার শিল্পের মধ্যে আমরা নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুঁজে পাই। আমাদের দরকার একটা শক্ত পাটাতন। আমাদের এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ খুঁজে পায়। আমাদের এগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গর্ব ধরে রাখতে হবে। এই জায়গায় চারুকলার সকল অনুষদ যদি একসাথে কাজ করে তাহলে আমাদের ইতিহাস আরো বিনির্মাণ হবে। প্রতি বছর এমন প্রদর্শনীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলেও জানান উপাচার্য।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে স্থপতি ময়নুল আবেদিন বলেন, ‘এই বিভাগের কাজ দেখি ১৯১২ সালে এবং তা দেখে অভিভূত হই। বড় কাজ-ছোট কাজ বিষয় না। আজকে এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের কাজ দেখলাম। অনেক ভালো লাগেছে। এছাড়া ভালো শিল্পী হতে হলে ভালো মনের মানুষ হতে হবে। তাহলে মানুষের কাছ থেকে ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবে। আশা করি শিক্ষার্থীরা আরো ভালো কাজ করবে।’
মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ