ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অ্যামাজনে চাকরি পেলেন পাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সুজা

প্রকাশনার সময়: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩২

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ সুজা টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যামাজনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) তিনি লন্ডনে অ্যামাজনের হেড অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ সুজা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নওগাঁ শহরের মো. সিরাজ উদ্দীন এবং আঞ্জুমআরার বড় ছেলে। ২০১৬ সালে পাবিপ্রবির সিএসই বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক (বিএসসি) শেষ করেন।

স্নাতক শেষ করার পর দেশের একটি আইটি কোম্পানিতে জুনিয়র অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আরো কয়েকটা চাকরির পর ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার একটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি জার্মানির বার্লিনে ডেলেভারি হিরো কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।

অ্যামাজনে চাকরি পাওয়ার পর সুজা নয়া শতাব্দীকে বলেন, পাবিপ্রবির শিক্ষার্থী হিসেবে অ্যামাজনে জয়েন করতে পেরে নিজের কাছে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও যে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোতে চাকরি পাওয়া সম্ভব সেটা এখন প্রমাণিত।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছু নাই সেটা সত্য। কিন্তু এই না থাকার মধ্যেও অনেক কিছু আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের ভালো ভালো জায়গাতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আমি মনে করি চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের পরবর্তী যারা আছে তারাও চেষ্টা করে ভালো জায়গাতে নিজেদের নিয়ে যাবেন।

অ্যামাজনে চাকরি পাওয়ার বিষয়ে সুজা বলেন, অনেকগুলো ধাপ ছিলো এখানে। সিভি পাঠানোর পর অনেকগুলো পরীক্ষা আমাকে দিতে হয়। গত তিন মাসে ৮-৯টা পরীক্ষা দেওয়ার পর উনারা আমাকে ফোন দিয়ে চাকরির কথাটা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবদুর রহিম নয়া শতাব্দীকে বলেন, এই সংবাদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগের জন্য গর্বের। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গাতে ভালো করছে এটা আমাদের জন্য আনন্দের। ওকে (সুজা) দেখে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে। আগামীতে আমাদের জন্য আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ