ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সকাল থেকে অনশনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় দুই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে (রামেক) এবং ওপর চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮টায় অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্য সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলেন, সুমাইয়া আক্তার, মনিজা আক্তার, লুনা আক্তার, রুমানা পারভীন, চামেলী এবং নুশরাত জাহান প্রিয়া। তারা প্রত্যেকেই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
তাদেরকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুমাইয়া আক্তার ও মনিজা আক্তারকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন উর্দু বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনায় বসতে চাইলে শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।
এরপর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল তাদের অনশন ভাঙাতে আসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, প্রক্টর আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরসহ জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে তাদের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করেন। কথা বলার এক পর্যায়ে প্রশাসনের দুইজন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের সাথে ঐদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে তাদের ধাক্কা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে কাল সকালে আমি চাকরি ছেড়ে দিব। যখন প্রশাসন তাদের সাথে কথা বলতে আসে তখন তারা স্যারদের সাথে উচ্চবাচ্য করে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তখন আমি তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি।
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসেন। পরে রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের পানি ও বিস্কুট খাওয়ায় অনশন ভাঙান।
এসময় উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ পর ফল পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা সবসময় কাজ করব। এসময় সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ