ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শাবিপ্রবি শিক্ষকের ‘পেল্টো অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন

প্রকাশনার সময়: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫৪

প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ‘পেল্টো অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম। প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞানে অবদানের জন্য নৃবিজ্ঞানীদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ‘সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড এনথ্রোপলজি’ তাকে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিভার্সিটি ও এর বাইরে এপ্লাইড এনথ্রোপলজিতে একাডেমিশিয়ান ও নন-একাডেমিশিয়ানদের যারা কাজ করে তাদের মধ্য থেকে প্রতিবছর কাউকে না কাউকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। ইন্সটিটিউট ফর এপ্লাইড এনথ্রোপলজির অধীনে ও তার বাইরে বিভিন্ন সময়ে এপ্লাইড এনথ্রোপলজি নিয়ে কাজ করেছি। এছাড়া ২৭ বছর ধরে ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছি। এসবের জন্য আমাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

অধ্যাপক একেএম মাজহারুল ইসলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ডের মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে প্রধান গবেষক ও সহ-প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৫টি বই লিখেছেন ও তার ৩৫টির মতো প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি আমেরিকান এনথ্রোপলজিকাল এসোসিয়েসন, সোসাইটি ফর মেডিকেল এনথ্রোপলজি এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম জানান, পেল্টো অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি আগামী তিন বছর বিভিন্ন কাজ ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি তিন বছর সে কমিটির (সোসাইটি ফর অ্যাপ্লায়েড এনথ্রোপলজি) সদস্য হিসেবেও কাজ করার সুযোগ পাবেন।

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞানে অবদানের ফলে এমন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি তার সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধুদ্ধ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন তাদের জন্যেই। আগামী তিন বছর সময়ের মধ্যে এনথ্রোপলজিকে বাংলাদেশে পপুলার করে তুলতে গ্র্যান্ড দেয়া হবে। স্কুল-কলেজগুলোতে আমরা বিভিন্ন এজেন্ডা নিব। এ কাজগুলো কে করবে? শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরাসহ নৃবিজ্ঞান বিভাগেরই তো সবকিছু করতে হবে। এটাই তো আমার জায়গা।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ