নানান অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা। বিশেষ করে বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। তীব্র পরিবহন সংকট ও এসব অনিয়ম অব্যস্থাপনায় অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা বহিরাগতদের উঠান। মাঝে মাঝে বহিরাগতদের ভিড়ে বাসে সিট পান না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে অনেকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেননি পরিবহন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অতিরিক্ত ভিড় থাকা স্বত্ত্বেও বাসে অনেক কর্মচারী নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালামাল আনা নেওয়া করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয় স্বজনের বিবাহ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানাদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পনেরো জন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য হলেও তাতে প্রায়ই বহিরাগতদের কারণে আমাদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে সকালের বাসে সমস্যাটি আরও প্রকটভাবে ধারণ করেছে। তীব্র পরিবহন সংকট সত্বেও বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের যাত্রী বহনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পবিপ্রবি পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান অভিযোগ সমূহ স্বীকার করে বলেন, পরিবহন নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে এবং একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামনে এ ধরণের আরও অনিয়ম দেখলে শিক্ষার্থীরা যেন সরাসরি লিখিতভাবে জানায়।
তিনি আরও বলেন, কোন কিছুতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে তা কখনোই কাম্য নয়, পরিবহন শাখা সহ সকল জায়গার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীসহ সকলকেই দায়িত্বশীলতার ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের সরাসরি লিখিতভাবে ছবি সহকারে অভিযোগ জাননো উচিৎ এবং উপযুক্ত প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহিঃর্ভূত এবং পরিবহন শাখার এ অনিয়মের সমাধানে আমি নিজে বর্তমানে এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছি। আশা করছি সামনে এ সমস্যা হবেনা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগসমূহ স্বীকার করলেও এ সকল অভিযোগের বিষয়ে কিছু জাননে না বলে বিবৃতি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ