‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব শুরু হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) নানান কর্মসূচির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের শুরু করে বাংলা বিভাগ।
এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর হুমায়ুন কবীর বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাউদ্দীন।
সকাল দশটায় বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে র্যালি বের করা হয়। এরপর কবুতর উড়িয়ে বাংলা বিভাগের সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
এরপর বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক সুমন শামস এবং আরিফা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় এক এক করে জাতীয় সংগীত, শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন, অতিথিদের বরণ করে নেওয়া, অতিথিদের বক্তব্য, গান, নৃত্য, অভিনয় পরিবেশন করা হয়।
সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. এম আবদুল আলীমের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিজয়ের মাস চলছে। আর এই বিজয়ের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ অত্যন্ত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন যার জন্য আমি বাংলা বিভাগকে অভিনন্দন জানাই। এই বর্ণিল আয়োজনে আমি অনেক আনন্দিত। এখানে শুরুটা হয়েছে ব্যান্ড পার্টি দিয়ে। এরপর এক এক করে নাচ, গানের আয়োজন। এগুলো মনের ভেতরে ছন্দের আয়োজন করেছে, যার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর হুমায়ুন কবীর বিপ্লব বলেন, আমি আজকের দিনে অত্যন্ত আনন্দিত। এই আমাদের এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অভিভাবককে পেয়েছি, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। একই সাথে আমরা এই আয়োজনে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান মহোদয়কে পেয়েছি সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রকৌশল অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সরকার, প্রক্টর মো. কামাল হোসাইন, সহকারী প্রক্টর মো. মাসুদ রানা, ড. মো. লোকমান আলীসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে থাকছে সংগীত, নৃত্য, বিতর্ক, আবৃত্তি, অভিনয়, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সুন্দর হস্তলিপি প্রতিযোগিতা। সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এ নিয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুস্মিতা জোয়ার্দার বলেন, এই সাংস্কৃতিক ও বিজয় উৎসব নিয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত। এমন আয়োজন প্রতিবছর হলেয়ামরা বাঙালি সংস্কৃতির চেতনায় নিজেদের আলোকিত করতে পারব।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ