ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তপ্ত চবি

প্রকাশনার সময়: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:১৪ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:১৬

হলের দেয়ালে চিকা মারাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। ‘বিজয়’ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং ‘ভিএক্স’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

জানা গেছে, চবির এ এফ রহমান হলের দেয়ালজুড়ে বিজয় গ্রুপের চিকা মারা হয়েছে বছরখানেক আগে। হলটিতে বিজয় গ্রুপ একক আধিপত্য বিস্তার করলেও ভিএক্সের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর চিকা মেরে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দিনভর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ এফ রহমান হলে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। এতে আহত হয় প্রায় ২০ জন কর্মী।

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে এ এফ রহমান হলের প্রায় অর্ধশতাধিক রুম ভাঙচুর করে বিজয়ের নেতাকর্মীরা। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিবাদমান পক্ষ দুটি। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র নিয়েও মহড়া দিতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষক ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও উঠেছে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার ভোরে বিজয়ের ছেলেরা আমাদের চিকা মুছে দিলে আমাদের কর্মীরা এটা নিয়ে প্রতিবাদ করে। ফলশ্রুতিতে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়। এছাড়া তারা আমাদের রুমগুলো ভেঙ্গে তচনচ করে ফেলছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এটার বিচার চাই।

বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা আল আমিন বলেন, ভিএক্সের কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ফায়ার করেছে। এরপর মুখ ঢাকা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে বিজয়ের ছাত্রদের রুম ভাংচুর করছে। হলের রুমে আটকা পড়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে মেরে তারা আহত করেছে৷ তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি আছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, হলে চিকা মারা নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরবর্তীতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবো। পাশাপাশি যারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে এবং হলের রুম ভাঙচুর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করেছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক এবং পুলিশি ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিবো। আর কোন হলে বগিভিত্তক গ্রুপের চিকা থাকবে না। আমরা দ্রত সময়ের মধ্যে হলের সকল চিকা মুছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ