চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৭তম বর্ষে পদার্পণ করে ১৮ নভেম্বর। ৫৭তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) আয়োজনে '৫৭ তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' শীর্ষক ভার্চুয়াল টকশো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় চবিসাস ফেসবুক পেজে এ টকশো অনুষ্ঠিত হয়।
চবিসাস সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব এ রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন এবং ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সভাপতি প্রত্যয় নাফাক। সমিতির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় টকশো।
উপাচার্য অধ্যাপক শিরীন আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি তুলে ধরে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য। এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা পেয়েছি অনেক এবং এখনও অনেক কিছু পাওয়া বাকি আমাদের।
পাশাপাশি সমাবর্তন নিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে চারবার সমাবর্তন হওয়া এটি খুবই কম বলে মনে হয়৷ আমরাও চাই সমাবর্তন হোক। আমরা ইতোমধ্যে কিছু প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আচার্য যখন সময় দিবেন তখনই আমাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করবো। এছাড়াও আমরা টিএসসি তৈরি করার জন্য কাজ করছি। টিএসসি ক্যাম্পাসেই হবে।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, শহরে চারুকলার জায়গাটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এখন শিক্ষার্থীরা চায় ক্যাম্পাসে ফিরতে অথচ শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসতে চান না। শিক্ষকরা শহরেই থাকতে চান। বিষয়টি সমাধানের জন্য সময়ের প্রয়োজন। আলোচনার মাধ্যমে এটিও সমাধান করা হবে।
এছাড়া সেশন জট, হলের খাবারের মান, আবাসন সংকট ও পরিবহন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের সেসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন উপাচার্য।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ