ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’

প্রকাশনার সময়: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪৪ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:০৫

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’এই স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ১২তম প্রজাপতি মেলা। সারাদিন নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চলবে এ উৎসব।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।

মেলার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন, বন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, কিউট প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মাতলুব আক্তার, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান প্রমুখ।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘প্রজাপতি নানাভাবে আমাদের উপকারে আসে। এছাড়া প্রকৃতিতেও প্রজাপতি অনেক অবদান রাখে। পাশাপাশি প্রজাপতির সৌন্দর্য আমাদের মনকে আপ্লুত করে। অন্যদিকে প্রজাপতি না থাকলে পরাগায়ন হবে না। তাই প্রকৃতিতে প্রজাপতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিবছর সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রজাপতি মেলা আয়োজন করা হয়।’

মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রজাপতি হলো- একটি ছোট্ট নান্দনিক প্রাণি, যা মানুষকে আনন্দ দেয়। দিনে দিনে এই প্রাণিটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। পূর্বে জাহাঙ্গীরনগরে ১১০ প্রজাতির প্রজাতি পাওয়া যেত। এখন এই প্রজাতির প্রজাতি সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ প্রজাতিতে। গাছপালা বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রজাপতি রক্ষা করতে হবে। কারণ প্রজাপতির পরাগায়নেই উদ্ভিদের ও গাছের সৃষ্টি। তাই মানুষের মাঝে প্রজাপতির গুরুত্ব বুঝানো এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই মেলার আয়োজন।’

মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘শিশুদের যদি প্রজাপতির গুরুত্ব অনুধাবন করানো যায়, তাহলে তারা প্রজাপতির গুরুত্ব বুঝতে পারবে। প্রজাপতির গুরুত্ব বুঝতে পারলে তারা প্রজাপতি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য শিশুদের জন্য ছবি আঁকা, প্রজাতি ঘুড়ি ওড়ানো, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এবার শিশুদের জন্য কাকতাড়ুয়া পাপেট দলের পরিবেশনায় প্রজাতির গল্পে পাপেট শো আয়োজন করা হয়েছে।’

এ বছর প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের প্রজাপতি মেলায় তরুপল্লব সংগঠনকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাসকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা আয়োজিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের 'কীটতত্ত্ব' এই মেলার আয়োজন করে৷

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ