ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত জাবি শিক্ষকের শাস্তি দাবি

প্রকাশনার সময়: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৪৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়ন ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগের তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনের পর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ববহ দুটি অভিযোগ শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের পদ ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার। অন্য অভিযোগটি হলো- আরেক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী এগুলো নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণ জনিত অপরাধ। এসব ঘটনার সত্যতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে বেশ কিছু ফটোগ্রাফ, চ্যাট বক্সের স্ক্রিনশট এবং অডিও ক্লিপের মাধ্যমে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটি, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগগুলো প্রমাণের পক্ষে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছেও রয়েছে। আমরা মনে করি, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে এটা স্পষ্ট যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি শিক্ষকতার পদে যুক্ত থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা অভিযোগগুলো তদন্তের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং নিম্নলিখিত দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষকরা। দাবিগুলো হলো- অভিযোগ তদন্তে অবিলম্বে একটি স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করা, প্রাথমিক সত্যতা থাকায় বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তকে তার সকল পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া।

অভিযোগগুলোকে ‘গুরুতর’ দাবি করে আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথা ৮ ডিসেম্বরের পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তিনি।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কখনো যৌন নিপীড়নকে আশ্রয় দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না করে তবে আমরা আমাদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ফাহিমা আল ফারাবী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ