ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাবিতে প্রজাপতি মেলা শুক্রবার

প্রকাশনার সময়: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৯:১২

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রজাপ্রতি মেলা-২০২২’।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন।

আগামী ২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন চত্বরে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রজাপতির সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের প্রজাপতি মেলায় তরুপল্লব সংগঠনকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হবে।

এছাড়া বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট-২০২২ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাসকে।

এবারের মেলা উপলক্ষে প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্র জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যেখানে রয়েছে- জীবন্ত প্রজাপতি, প্রজাপতি বান্ধব বৃক্ষাদি ও প্রজাপতির প্রজনন ক্ষেত্রসহ উন্মুক্ত বাগান।

প্রজাপতি মেলার দিনব্যাপী আয়োজনে থাকছে- প্রজাপতি বিষয়ক অ্যাওয়ার্ড প্রদান, প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের জন্য), প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের জন্য), প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ‘কিউট’। সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার)। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চ্যানেল আই ও রেডিও ভূমি।

মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০-৬০ প্রকারের প্রজাপতি বর্তমানে পাওয়া যায়। যা আগে ছিলো ১১০ প্রকারের বেশি। বর্তমানে বড় একটি অংশ বিলুপ্তির দিকে গেছে। এজন্য আমরা এবার চেষ্টা করেছি যেসব গাছে প্রজাপতি বসতো কিংবা প্রজাপতির লার্ভা ও প্রজাপতি নির্ভর তথ্যচিত্র ও গাছ প্রদর্শনী থাকবে।

অধ্যাপক মনোয়ার আরও বলেন বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে কিংবা দেশে প্রজাপতি কমে যাওয়ার কারণ হলো প্রকৃতি ধ্বংস। প্রজাপতি প্রকৃতির জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটা প্রাণী। আমরা যদি প্রজাপতিকে রক্ষা করতে পারি তাইলে শুধু প্রজাপতি রক্ষা করা হবে না এটা মূলত পরিবেশকে রক্ষা করা।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ