ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই সমাবর্তন : বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশনার সময়: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ২৩:২৮

শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১২ বছর পার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের হাতে মূল সনদ তুলে দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

৪০ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ও বশেমুরবিপ্রবি সাবেক শিক্ষার্থী এসএম শাহ আলম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুগের বেশি সময়েও সমাবর্তন না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের কয়েকবছর আগে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সালেই প্রথম সমাবর্তন হয়। ইতোমধ্যে তাদের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সেখানে আমাদের এতদিনে একটা সমাবর্তন না হওয়া আমি অবশ্যই দুঃখজনক মনে করি।

বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩৩টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির দশম ব্যাচে ভর্তি হবেন প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী।

লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী উম্মে কুলসুম হেনা বলেন, সমাবর্তন এমন একটা উপলক্ষ, যার মাধ্যমে শুধু শিক্ষার্থী নয় তার বাবা-মাও সম্মানবোধ করেন। আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বন্ধুদের যখন দেখি তারা সমাবর্তনে তাদের বাবা-মাকে নিয়ে আসছে, সহপাঠীদের সাথে গাউন পড়ে উচ্ছ্বাস করছে—তখন নিজের মধ্যে আক্ষেপ হয়। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের দাবি করছি।

এ দিকে, সমাবর্তন আয়োজন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন পর্যন্ত নেই কোনো রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্র্যাজুয়েটও। ফলে বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১-এর ১৮নং ধারার ‘ঝ’ উপধারায় রিজেন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রারভুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৫ জন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও এখনও সেই ৫টি পদ পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় বশেমুরবিপ্রবি থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সমাবর্তন আয়োজন করা অত্যান্ত জরুরি। আমরা উপাচার্য মহোদয়সহ সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবো।

বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, এই বছরেতো সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরে সমাবর্তন আয়োজন করার। সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী বছরই সমাবর্তন হবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ