খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ড. মো. আবুল কাসেম চৌধুরী।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে ড. আবুল কাশেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত পটুয়াখালী কৃষি কলেজের (বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর সুনামের সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
তাছাড়া ২০০১ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, জাপানে পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন বিষয়ে গবেষণা করেন। আন্তর্জাতিক (২৯টি) ও জাতীয় (২৪টি) পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে তার ৫৩টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া প্রফেসর ড. চৌধুরী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সফল কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড. চৌধুরী কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, কৃষি অনুষদের ডিন, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের প্রধান, রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রফেসর ড. আবুল কাশেম চৌধুরীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মাধ্যমে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনে আরও বেগবান হবে একইসঙ্গে তাদের গবেষণা কার্যক্রমেও সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ