ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের এক ছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন।শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জয়পুরহাট রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত কুয়েট শিক্ষার্থীর নাম রাহুল হোসেন। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কালীপাড়া গ্রামের মৃত শাহরিয়ার রইচের ছেলে।
পুলিশ ও নিহত কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল হোসেনের মানিব্যাগে পাওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র রাহুল হোসেন কুয়েটের একাডেমি পরীক্ষা শেষ করে বগুড়ার শিবগঞ্জের কালীপাড়ায় নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছান। খুলনা থেকে ঈশ্বরদী রেলজংশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রাহুল হোসেন ঈশ্বরদী রেলজংশনে পৌঁছান।
ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে রাত ১টা ২০মিনিটের সময় ওই একই ট্রেনের সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিকিট সংগ্রহ করেন। উদ্দেশ্য ছিল সেখান (সান্তাহার) থেকে ট্রেন বা বাসে করে বগুড়া গিয়ে সড়ক পথে শিবগঞ্জ উপজেলার কালীপাড়ায় নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়া।
সে অনুযায়ী কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল হোসেন ঈশ্বরদী থেকে ওই ট্রেনে সান্তাহারের উদ্দেশ্যে আসার সময় ট্রেনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় সান্তাহার জংশনস্টেশন অতিক্রম (পার হয়ে) করে ট্রেনটি জয়পুরহাটে এসে পৌঁছালে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তিনি সেসময় দ্রুত ট্রেন থেকে জয়পুরহাট রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে নামতে গিয়ে অসর্তকতায় পা পিছলে নিচে রেললাইনে পড়ে গেলে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। সে সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ, ট্রেনের টিকিট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন থেকে তার প্রাথমিক পরিচয় জানা যায়। তবে ট্রেনের চাকায় থেতলে যাওয়ায় মোবাইল ফোন ও সিম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুয়েটের একজন শিক্ষার্থী জয়পুরহাট রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে র্দুঘটনায় নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ