পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি- ২ এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপ-উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক (শিক্ষা) ড. নাসরিন আহমাদ।
বিশবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন এবং অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নাসরিন আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি জন যুদ্ধ ছিলো। গুটি মানুষ এদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার, আলবদর ছিলেন। এই গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেকটি মানুষের অবদান আছে। এই কারণে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদেশের প্রতিটি মানুষের কোনো না কোনো গল্প আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গেলে কথা শেষ হবে না। ছোটোকাল থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখে আসছি। উনার আদর স্নেহ পেয়ে বড় হয়েছি। উনাকে রাতদিন যেখানেই কথা বলতে দেখতাম সবখানেই বাংলার মানুষ কীভাবে শোষিত হচ্ছে, কীভাবে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এগুলো নিয়েই কথা বলতেন। উনার এইসব কথা শুনেই আমরা বড় হয়েছি এবং দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, এই অনুষ্ঠান আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো জানুক, মুক্তিযুদ্ধকে তারা অনুভব করুক। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। এই প্রেরণাকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহর সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দফতরের পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ