সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদের ডিন হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) নিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং এখানকার সুগঠিত ল্যাব, ক্লাস রুম, হাসপাতাল দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি অবশ্যই এই অনুষদের উন্নতি কামনা করবো।’
তিনি আরো বলেন, এত কিছুর মাঝেও এখানে কিছু গ্যাপ রয়ে গেছে। বিশেষ করে এখানে গবেষণা হয় না বললেই চলে। শিক্ষকদের গবেষণায় যুক্ত করতে আমি কাজ করবো। এছাড়াও, ল্যাবে বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে, স্যাম্পল, রিএজেন্ট, মাইক্রোস্কোপ, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতির অভাব আছে। এগুলো আমি উপ-উপাচার্য মহোদয়কে অবহিত করে সমাধান করবো৷ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনান্য যাবতীয় সমস্যা সমাধানে আলোচনা করবো।
এখানকার শিক্ষক স্বল্পতার নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে আমি সচেষ্ট থাকবো। এছাড়াও এখানে শুধু অনার্স চালু আছে যার কারণে স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আমি এখানে মাস্টার্স ডিগ্রি চালু করবো।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে উন্নত প্রশিক্ষণ পায় সেজন্য বিদেশে বিশেষ করে জাপান, মালেশিয়া, ভারতে ইন্টার্নিশিপে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।
উল্লেখ্য, গবিতে একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদ চালু রয়েছে। ২০১৬ সালের মে মাসে এই অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের (বিভিসি) অনুমোদনক্রমে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ইর্টার্ণশীপসহ এই কোর্সের মেয়াদ ৫ বছর। শুরুতে ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে অতি অল্প সময়েই ভেটেরিনারি শিক্ষার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারায় ২০১৮ সালে ইউজিসি আসন সংখ্যা ২৫ থেকে ৫০-এ উন্নীত করে। বর্তমানে উক্ত অনুষদে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ