যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাকালীন পরিবহন সময়সূচি পরিবর্তনে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরিবহন সূচি পরিবর্তনে কিছু শিক্ষার্থীর সুবিধা হলেও অসুবিধায় পড়েছেন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। এনিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা পরিবহন সূচি পুনর্বিন্যাস করে পরীক্ষার সাথে সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) যবিপ্রবির পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. মো: জাফিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিবহন বিজ্ঞপ্তিতে পরিবহন চলাচলের সময়সূচি পরিবর্তনের ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮:২৫ টায় শহরের মনিহার ও চাঁচড়া পয়েন্ট থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং সকাল ১১:৩০ টায়(পরীক্ষা থাকা সাপেক্ষে) একই স্থান থেকে ক্যাম্পাসে আসবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন। তবে পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষার্থীদের সকাল ৯:২৫ এর ট্রিপ বন্ধ থাকবে।
এনিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবহন ট্রিপের নতুন সময়সূচি কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকলেও যবিপ্রবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোনিয়া জানায়, আমাদের পরীক্ষা সকাল ১০:৩০ টায়। ৮:২৫ এর বাসে আসলে আমাদেরকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে পরীক্ষার জন্য। এতক্ষণ আমরা কোথায় বসবো! তাছাড়া এটি আমাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। পরীক্ষার সময় এধরনের হয়রানি না করার জন্য অনুরোধ করছি।
বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী পারভেজ বলেন, পরীক্ষার সময় সিডিউল, বাস সংখ্যা নিয়ে জটলা পাকিয়ে ফেলায়। আমি মনে করি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং পরিবহণ দপ্তর এর মধ্যে মারাত্মক সমন্বয় এর অভাব রয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সব বাস একই সময়ে না দিয়ে ৮:২৫ ও ৯:৩০ টায় কিছু কিছু করে ভাগ করে দিলে ভালো হয়। আর কিছু বাস বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার সময় অনুযায়ী দিলে ভালো হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোঃ জাফিরুল ইসলাম বলেন, ২৬টি বিভাগের পরীক্ষা একই সাথে শুরু হওয়ায় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী সমন্বয় করে আমরা সিডিউল পরিবর্তন করেছি। যে বিভাগের পরীক্ষা সকাল ১০ঃ৩০ থেকে শুরু হবে সেই বিভাগের চেয়ারম্যান তাদের রুটিন দপ্তরে প্রেরণ করলে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সকাল ৯:২৫ এর ট্রিপ বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক বিভাগের পরীক্ষা দুপুরে রয়েছে সে সাপেক্ষে সকাল ১১:৩০ টায় পরিবহন ট্রিপের ব্যবস্থা করেছি আমরা। এজন্য সকাল ৯:২৫ এর ট্রিপ বন্ধ করা হয়েছে। পরিবহন সিডিউল পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে প্রতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময় এমন ঘটনাকে শিক্ষার্থীদের হয়রানিমূলক বলে দাবি করছেন তারা, কারণ হিসেবে বিভাগ, পরিবহন দপ্তর ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির অবহেলাকে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ