ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীন তমার মামার অপারেশনের ঠিক মাঝখানে ডাক্তার জানায় দ্রুত ২ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করতে হবে। দিশেহারা হয়ে তমা ক্লাসসহ সিনিয়র সকলের কাছেই রক্তের খোঁজ করতে থাকে। এই দুঃসময়ে রক্তদাতার সন্ধান না পেয়ে অবশেষে তমা স্বেচ্ছায় রক্তদানের সংগঠন ‘বাঁধন’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে বাঁধন-ই সব ব্যবস্থা করে দেয়।
এটিই একমাত্র ঘটনা নয়। স্বেচ্ছায় রক্তদানের এই সংগঠনটি এমন হাজারো তমার বিপদের সঙ্গী হয়ে আছে ২৫ বছর ধরে । এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৭৭ হাজার ব্যাগ রক্তের যোগান দিয়ে মানুষের পাশে আছে রক্তদানের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘বাঁধন’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে কার্য পরিচালনা করে বাঁধন। স্মৃতিচারণ করছি ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর সেদিন ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন এই শ্লোগানে’ শহীদুল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বাঁধন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে যাত্রা শুরু করে ২৫ বছর ধরে 'বাঁধন' এখন দেশের ৫৩টি জেলার ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মোট ৭৬টি ইউনিটের মাধ্যমে আজ মানবিক কাজের বার্তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বাঁধনের ২৫তম রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঁধনের প্রতিষ্ঠাতা শাহিদুল ইসলাম রিপন, বাঁধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকীব আহমেদ, বাঁধনের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এস এম কোরবান আলী, বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মো. নাহিদুজ্জামান, বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মো. তরুণ মিয়া, বাঁধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জোনের সভাপতি মিনহাজ মাহমুদ হিমেল ও সাধারণ সম্পাদক গালিব আহমেদ শিশির।
বাঁধনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করার উদ্যোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে করা যায়নি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ