শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সংকট নিরসন এবং আন্তর্জাতিক মানসম্মত, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী, গবেষণা-বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৭ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখার নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৩ অক্টোবর) যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের একান্ত সচিব (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ অর্ণবের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিসমূহ হলো- ১. ভর্তুকি ও রেশনিং এর মাধ্যমে আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা। ২. বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ক্ষেত্রে যবিপ্রবিয়ানদের অগ্রাধিকার। ৩. সেমিস্টার ও রিটেক ফি কমানো। ৪. ভর্তি ফি কমানো। ৫. অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য বাস ও ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ৬. যাবতীয় প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে অটোমেশন চালু করা, মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থা করা। ৭. পরীক্ষার ফলাফল জটিলতা শূণ্যে নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৮. ক্যাম্পাসের সর্বত্র স্টুডেন্ট ই-মেইল আইডি এর মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা ওয়াইফাই নিশ্চিত করা। ৯. চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সফল করতে একাধিক বিশেষায়িত ল্যাব যেমন- রোবটিক্স ল্যাব, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ল্যাব, অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং ল্যাব, ভিএলএসআই ল্যাব স্থাপন। ১০. শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ মেডিক্যাল সেন্টার নির্মাণ ও সুলভ মুল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রাপ্তির লক্ষ্যে ফার্মেসি চালু করা। ১১. বিভাগীয় ক্যারিকুলাম নিয়মিত হালনাগাদের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা। ১২. International student Exchange programme এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি করা। ১৩. বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আকর্ষণীয় বৃত্তি ও সুবিধাসহ নিয়মিত ‘আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তি’ প্রদান করা। ১৪. আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের জ্ঞান ও চর্চাকে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংকড ইন পরিচালনা করা। ১৫. শিক্ষার্থীদের জন্য রিসার্চ প্রজেক্টে অনুদান নিশ্চিত করা। ১৬. আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা। ১৭. শিক্ষার্থীদের রিসার্চ অ্যাসিট্যান্ট ও টিচিং অ্যাসিট্যান্ট হিসেবে কাজ করার নীতিমালা তৈরি করা। ১৮. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা। ১৯. অযৌক্তিক উন্নয়ন ফি বাতিল করা। ২০. ক্যাম্পাসে মন্দির স্থাপন করা। ২১. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি করা। ২২. অনুষদ বিল্ডিং এ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিন স্থাপন করা। ২৩. ক্যাম্পাসে সুইমিং পুল নির্মাণ করা। ২৪. শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নিয়মিত ‘স্টার্টাপ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করা। ২৫. অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ দেয়া। ২৬. উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষাঋণ নীতিমালা’ প্রণয়ন করা। ২৭. ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা।
এসব দাবির প্রেক্ষিতে যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে দাবিগুলো দিয়েছে সেগুলো নিয়ে আমি গত কয়েকবছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তারা যে দাবিগুলো দিয়েছে সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি, এ দাবি গুলো পূরণ করতে পারলে আমি অত্যন্ত খুশি হবো। আমি যথাসম্ভব এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো।’
এছাড়াও দাবিকৃত কিছু বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ