বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ফ্রিজিং গাড়িতে করে শাহরিয়ারের মরদেহ পৌঁছায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে। সেখানেই জানাজা শেষে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি রওনা হয় নিজ বাড়ি দিনাজপুরের উদ্দেশে। সহপাঠী, শিক্ষক, স্বজন ও শিক্ষার্থীরা অশ্রুচোখে ক্যাম্পাস থেকে তাঁকে শেষ বিদায় জানান।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
জানাজায় অংশ নিয়ে শাহরিয়ারের বড় ভাই গোলাম শাহরিয়ার সাকি বলেন, ‘আমার স্নেহের ভাইয়ের কফিনের যে ওজন তা নিতে পারব কিনা জানি না। তাকে সবাই ক্ষমা করি দিয়েন। তার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা তাকে এভাবে ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদানের জন্য। আমার ভাই এবং আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তবে এভাবে আমার ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষক হিসেবে কখনো চাই না। ওর আচরণের কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা করে দিয়েন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রন্তুত রয়েছি।’
শাহরিয়ারের সহপাঠী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমার বন্ধুটা আর নেই। গতকালও ওকে গালাগালি করলাম তুই এত অলস কেনো? সব কাজে দেরি করে আসিস। অথচ আজ একেবারে অলস হয়ে গেল বন্ধুটা।’
উল্লেখ্য, শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ