জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে শেখ রাসেলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর দে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এই দাবি করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হোক সেজন্য আমরা ঢাকায় একটি কমিটি করেছি। বিভিন্ন গুনীজনকে এর সঙ্গে যুক্ত করেছি। তারাও বলেছেন শেখ রাসেলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত। পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে। এটি আজকের নতুন কথা নয়। কিন্তু এখনো হয়নি। তাই আজকের এই সভায় শেখ রাসেলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার দাবিটি আবারও পুর্নব্যক্ত করছি। সেটি দেশের যেকোন স্থানে হতে পারে তবে পিছিয়ে পড়া জনপদ হিসেবে শেরপুরে হলে বেশি ভালো। কেননা ময়মনসিংহ বিভাগের এই অঞ্চলে ইতোমধ্যেই জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ রাসেল পবিত্রতার প্রতীক। আর জ্ঞান যদি পবিত্র হয়ে থাকে তাহলে শেখ রাসেল সেই জ্ঞানেরও প্রতীক। শেখ রাসেলের নামের সাথে বার্ট্রান্ড রাসেলের নামও যুক্ত। তিনি শুধুই ব্যক্তিমাত্র নন। তিনি আমাদের সামনে শুভ্রতার ধ্রুব তারকা। তাকে আমরা স্মরণ করবো। আর সেজন্য শেখ রাসেলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের দাবি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. যোবায়ের হোসেন, কর্মচারী সমিতির (গ্রেড১১-১৬) সভাপতি নাজমুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতি (গ্রেড ১৭-২০) সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যাল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এসমব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দিবসটি স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ