ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিককে মারধর 

প্রকাশনার সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৯ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৭

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকারকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। আহত শিহাব এখন যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিহাবকে মারধরের ঘটনায় জড়িতরা হলেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান রহমান রাব্বি, রসায়ন বিভাগের তৃতীয়বর্ষের জুবায়ের, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয়বর্ষের বাহার, একই বিভাগের তৃতীয়বর্ষের নুর আলম, চতুর্থবর্ষের সৌমিক, তৃতীয়বর্ষের আশিকুজ্জামান লিমন, দ্বিতীয়বর্ষের আমিনুল ইসলাম, স্নাতকোত্তরের উত্তম, ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থবর্ষের বেলাল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।

জানা যায়, রোববার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কদমতলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের ২জন অনুসারী অস্ত্র দিয়ে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে।

এরপর কদমতলা থেকে তানভীর ফয়সালের অনুসারীরা শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সভাপতি সোহলে রানার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান আল ইমরান বলেন, হলের ভিতর সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয় জানতে পেরেছি। হল প্রভোস্ট ইতোমধ্যে মিটিং করে হলের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করেছেন। আহত সাংবাদিককে দেখেছি ও চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনা নেক্কারজনক। গত চার বছরে যবিপ্রবিতে এমন ঘটনা ঘঠেনি। এ ঘটনায় জড়িতদের আমরা দ্রুত শাস্তির আওতায় আনব।

এ বিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মারামারি থামিয়ে দেই। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তল্লাশি করা হয়েছে। এছাড়া এরইমধ্যে প্রভোস্ট বডি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সমিতির সাথে মিটিং করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কর্মীদের অন্তর্কোন্দলে সংগঠিত ঘটনা এবং দায়িত্বরত সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছি। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হবে। দোষীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব সহায়তা করা হবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ