ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ক্যারিয়ার সেমিনারে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করতে পারবে’

প্রকাশনার সময়: ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৮

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আত্মোন্নয়নে শিক্ষকদের অবদান রাখার অনেক জায়গা রয়েছে। বাংলাদেশে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। এইখানে দক্ষতা খুব প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নীতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ক্যারিয়ার সেমিনার আয়োজন করা উচিত, তাতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় অ্যাকাডেমিক ভবনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করা হয়। জাতীয় পতাকা ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বাররা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক সুবিধা নেয় সেখানে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ আলাদা।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পরিবেশ থেকে শুরু করে শিক্ষাকার্যক্রম পর্যন্ত পুরোটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদয়ালয় বিভাগের সম্মানিত পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ শুধুমাত্র জনগণের জন্য। এই নামকরণের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইউজিসির সকল নির্দেশনা মেনে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া এখানে খুবই স্বল্প খরচে নানা বিষয়ে পাঠদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন।

সেখানে বাংলা বিভাগের নবীন ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আজ এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বুঝতে পারছি যে এ বিশ্ববিদ্যালয় কত সংস্কৃতি মনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক কিছু অর্জনের বাকি আছে এখনো।

বিশেষ অতিথি ও ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই তার নামের যথার্থতা বুঝা যায়। তথাকথিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা, এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এখানকার পরিবেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশসেবায় নেতৃত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলে তবে যেকোনো বিশৃংখলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যপক ডা. মো. আবুল হোসেন বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসুস্থ তার জন্য এই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিলাসিতা নেই যার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। আমাদের শুরু থেকেই ছয়মাসের সেমিস্টার পদ্ধতি আছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মান অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও নেই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যদি তোমাদের জীবনের এই চারটি বছর কে কাজে লাগাতে পারো তবে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

এরপর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব পরিদর্শন করেন। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ