পারিবারিক রক্তের সম্পর্কের বাইরেও আরেকটি রক্তের সম্পর্ক হয়, সেটি হয় রক্তদানে। আর এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন করে দেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদান বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তিমা’। কারো প্রয়োজন হলে রক্ত দেয়ার দায়িত্বটুকু নিজেদের কাঁধে তুলে নেন সংগঠনটির সদস্যরা। এরপর রক্তদাতার খোঁজ করেন, নিয়ে আসেন যার রক্তের প্রয়োজন তার কাছে। ফলে রক্তগ্রহীতাদের সাথে তাদের গড়ে উঠে এক অন্যরকম সখ্যতা।
‘নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ’ স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম মোর্শেদ হিমুর হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল ‘রক্তিমা’। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটি বছর। এরইমধ্যে বিস্তৃতি লাভ করে প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির কার্যক্রম।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, সেরা রক্তদাতাদের পুরস্কার প্রদানসহ নানা আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আদনানের সভাপতিত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মেহের আলী, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাকির হোসেন, টিএসসিসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাবুব আলম, রক্তিমার সাধারণ সম্পাদক শৈবাল নন্দী হিমুসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি উম্মে হাবিবা হ্যাপী। এ সময় বক্তারা রক্তদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন। একইসাথে সংগঠনের নবীণ সদস্যদের রক্তদানের উৎসাহিত করেন।
এ বিষয়ে রক্তিমার সাধারণ সম্পাদক শৈবাল নন্দী হিমু বলেন, রক্তিমার ৫ বছরের পদার্পণে সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। মানবতার স্বার্থে রক্তিমা ক্যাম্পাসসহ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে রক্তদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। সংগঠনের সকলের সহযোগিতায় রক্তদানের মাধ্যমে আরো এগিয়ে যাবে রক্তিমা।
নয়াশতাব্দী/জেডএম/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ