ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
ইবিতে পথনাটক

পথধুলি থেকে রক্ষা পেতে ‘জুতা আবিষ্কার’

প্রকাশনার সময়: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৯ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:২১

হবু রাজার হাটতে গেলে পায়ে ধুলো লাগে। তাই মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন পুরো রাজ্য সাফ করতে। রাজার হুকুমে ১৭ লক্ষ ঝাটার মাধ্যমে পুরো রাজ্য ঝাড়ু দেওয়া হলো। এতে রাজ্য ধুলোয় সর্দি-কাশিতে মরার উপক্রম হলো। পরে মন্ত্রীদের পরামর্শে রাজা পুরো রাজ্য পানিতে ভিজিয়ে ধুলো কমানোর নির্দেশ দিলেন। এতে পুকুর, নদী সব শুকিয়ে গেল আর রাজ্যে সকলের শুরু হলো জ্বর-সর্দি।

এরপর পরামর্শ সভায় পুরো রাজ্য মাদুর দিয়ে ঢেকে রাজাকে ঘরের মধ্যে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলো। রাজ্যে যথাযোগ্য চামার খুঁজতে ছুটোছুটি শুরু করলো সকলেই। এরপর বৃদ্ধ এক চর্মকার (মুচি) রাজার দুই পা চামড়া দিয়ে ঢাকার পরামর্শ দিলেন। রাজা তাকে অনুমতি দিলে পা চামড়ায় মুড়িয়ে দেন। সেই থেকে রাজার পা ধুলোমুক্ত হলো। আর এভাবেই হলো জুতা আবিষ্কার।

পথনাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতা অবলম্বনে এমন চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সদস্যরা।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা একটায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজের অবহেলিতদের দ্বারা সভ্যতায় অবদান ফুটে উঠেছে। নাটকে অতিথি ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা গাউছুল আজম রিন্টু। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী নাটকটি উপভোগ করেন।

থিয়েটারের সহ-সভাপতি কৌশিক আহমেদের দিক-নির্দেশনায় কুশিলব ছিলেন, বদরুল আমিন পিয়াস (হবু রাজা), আব্দুল মমিন নাহিদ (গবুচদন্দ্র মন্ত্রী), তাজনিয়া লাবণ্য (উজির), মাহমুদুজ্জামান নিশান (নাজির), আদনান আলিম পাটোয়ারী (শান্ত্রী), মাহির আল-মুজাহিদ (চর্মকার), পারিজাত সুলতানা ও কুলছুম আক্তার (ঝাড়ুদার) এবং মোনালিসা মুনা (পুথিপাঠক সিতারা বেগম)।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান নাজির ও কার্যনির্বাহী সদস্য শিহাব উদ্দীন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ