ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় রাজ

প্রকাশনার সময়: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৪৫

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরেজি বিভাগের স্নাতোকোত্তরের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম হোসেন রাজ। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াদপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রশিদের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইচ্ছে ছিল পরিবারের হাল ধরবে, উল্টো নিজেই পরিবারের বোঝায় রূপান্তরিত হয়েছে।

র‍্যাডিকিউলোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত রাজ। সেরে উঠতে প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার। আর তাতে খরচ লাগবে ১০ লাখ টাকার বেশি, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রাজ ও তার পরিবার। চিকিৎসার ব্যয়বার বহনে অপারগ হওয়ায় সমাজের বিত্তবানদের কাছে বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত।

এই রোগের প্রভাবে শক্তি কমে আসছে মোস্তাাকিমের পায়ের। পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে তাকে। মাঝেমধ্যে হাঁটতেও পারেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা ভারতে গিয়ে অস্ত্রোপাচারের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে টাকার অভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না রাজ। ফলে অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ১২ বছর বয়স থেকেই পায়ের সমস্যা দেখা দেয়। দুই পায়ের শক্তি কমে যাওয়ায় মাঝেমধ্যে লাঠি নিয়ে চলতে হতো তাকে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে চলাচলের শক্তি হারাতে বসেন রাজ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় তার শরীরের নিচের অংশের শিরাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সময় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তিনি তা পারেননি। ২০১৮ সালে আবারও সমস্যা বেড়ে যায়। এখন আর লাঠি ছাড়া চলতেই পারেন না তিনি।

জানা যায়, ২০২১ সালে ভারতের ভেলরে সিএমসি হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট কনসালট্যান্ট ডা. সুভরনসু শেখরের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করেন রাজ। এ সময় অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে ভারতে যেতে বলেন ডা. শেখর। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় যেতে পারেননি।

সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট অনলাইনে ডা. গুভরনসু শেখরের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ হলে, অস্ত্রোপচারের জন্য ভারতে যাওয়ার একই পরামর্শ দেন।

মোস্তাকিম হোসেন রাজ বলেন, চিকিৎসকরা কয়েক দফায় আমাকে অস্ত্রোপচার করতে বললেও টাকার অভাবে তা পারিনি। বর্তমানে দিনের পর দিন অবস্থা আরো ভয়াবহ হচ্ছে। পা চিকন হয়ে যাচ্ছে। পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাই। এজন্য সবার কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।

রাজের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘অন্যের জমিতে কাজ করে যা আয় হয় তাতেই সংসার চলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে অনেক আগেই ভারতে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল। টাকা জোগাড় না হওয়ায় নিতে পারিনি। এখন আর দেরি করার সুযোগ নেই। আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে সবার সহযোগিতা চাই।’

রাজকে সহায়তা পাঠানোর মাধ্যম-

নগদ ও রকেট: ০১৭৪১ ৩২ ০৮ ২৫

বিকাশ- ০১৫১৭ ১৯ ২০ ৪২

অগ্রণী ব্যাংক, একাউন্ট নং- ১১৯৩২

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ