জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও কাজে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের নগ্ন হস্তক্ষেপ করায় তাকে দ্রুত গ্রেফতারসহ দশ দফা দাবিতে মানবন্ধন ও দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছে জবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ইভান তাহসীব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাফিয়াতন্ত্র রুখে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদমাধ্যমের মারফতে জানা যায়, কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ সেখানকার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের টেন্ডার পাওয়া না পাওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে ।
এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর ইতিহাস মূলত ছাত্রদের আন্দোলনেরই ইতিহাস। ২০১১ তে ২৭/৪ ধারা বাতিলের আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৬ তে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের ঘোষণা—সবই ছিলো ছাত্রদের আন্দোলনেরই ফসল।
উচ্চশিক্ষা-গবেষণা-জ্ঞানচর্চার জন্য আবাসিক আয়োজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশাল ক্যাম্পাস থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মাসব্যাপী আন্দোলনের মুখে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসন। এরপর, ক্যাম্পাসের জন্য বরাদ্দকৃত ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কিছুটা শুরু হলেও সেটা আজ পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়নি। এরই মধ্যে আমরা দেখলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন টেন্ডারের জন্যে আরো ১১.৪০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ আটকে রেখেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজের এই দীর্ঘসূত্রিতার দায় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে প্রতিশ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের ঘোষণা এতোদিনেও বাস্তবায়ন না করার মধ্যদিয়ে মূলত ছাত্রদের আকাঙ্খাকেই অমর্যাদা করা হয়।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, একমাত্র ধারাবাহিক ছাত্র আন্দোলন ছাড়া কেউ এই দাবি মেনে নেবে না। তাই, মাফিয়াতন্ত্র রুখে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজকে বেগবান করার উদ্দেশ্যে সকলকে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাই।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ