ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দশ দফা দাবিতে উত্তাল জবি 

প্রকাশনার সময়: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪৬

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও কাজে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ নগ্ন হস্তক্ষেপ করায় তাকে দ্রুত গ্রেফতারসহ দশ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে এসব কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে এসে মেইন গেইটে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি হল: ১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রধানমন্ত্রীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা। ২. প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরবর্তী নির্মাণ কাজ শেষ করা। ৩. ক্যাম্পাসের কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের গ্রেফতার করতে হবে। ৪. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও অবিলম্বে পুলিশের থানা বাস্তবায়ন। ৫. শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো আগে সম্পন্ন করতে হবে। ৬. লেক নির্মাণের টেন্ডারে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। ৭. জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা। ৮. প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সকল তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ৯. দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান নতুন ক্যাম্পাস তথা ২য় ক্যাম্পাসে করার ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে নাট্যকলা বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অতি দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রশাসন দশ দফা দাবি না মানলে আমরা রাস্তায় নামবো। আমরা সুকান্তের জলসানো রুটির মতো থাকতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা দশ দফা জানিয়েছি। আমরা ডানে বামে দেখতে চাই না, আমরা শুধু ক্যম্পাসের কাজের অগ্রগতি চাই। এটা আমাদের প্রাণের দাবি। আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় বেধে দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি আমাদের দশ দফা দাবি মানা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে নামব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো কুচিক্রী মহলকে ভয় পায়না।

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, আমদের ১২টা হল ছিল। এগুলো দখল হয়েছে। কারণ প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা ছিল না। জগন্নাথের প্রশাসন যে অদক্ষ তারা তা বার বার প্রমাণ করেছে। নিজেদের অধিকার রয়েছে নিজেদের ক্যাম্পাস বুঝে নেওয়ার। তাই এখনই সময় আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের। আগামী বুধবারের মধ্যে দশ দফা না নামলে আমরা কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন ক্যম্পাসের কার্যক্রম খুবই কম। সাংবাদিকরা সেখানে গেলে সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হচ্ছে৷ সেই ক্যাম্পাস হয়েছে অপরাধী চক্রের অভয়ারণ্য। লজ্জার বিষয় আজ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ বন্ধ রয়েছে। এত বড় কাজের মাত্র একজন কেন টেন্ডার জমা দেবে। প্রতিটা টেন্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ