একটি আদর্শ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছামূলক অংশগ্রহণে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ৩ দিনব্যাপি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময়ে ক্যাম্পেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লা - আর্বজনা পরিষ্কার করা হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা কমিটির’ আয়োজনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ও ১৯ সেপ্টেম্বরও অব্যহত থাকবে। উদ্বোধনী ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

এ সময় উপাচার্য বলেন, আমরা আমাদের এই ছোট ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্যমে দেশের অন্য সকল ক্যাম্পাসের কাছে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করবো। সে লক্ষ্যে আমরা অনেক আগেই পরিবেশ ও পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতা কমিটি করে দিয়েছি।

পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল কাদের বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুন্দর ও মনোরম করার জন্য আমরা এই আয়োজনের উদ্যেগ নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৫০জন শিক্ষার্থী আমাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমরা এদেরকে নিয়ে ৩ দিনব্যাপি এই কার্যক্রম পরিচালনা করার পর একটি স্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করারো পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ খুবই নাজুক এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নিয়ে আমাদের কাছে আসলে আমরা এই কার্যক্রম করার উদ্যোগ নেই।

কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে আহসান হাবিব দোলন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুন্দর রাখতে শিক্ষার্থীদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। ক্লাসে মনোরম পরিবেশ ও ক্লিন ক্যাম্পাস থাকলে পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে।

এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ভবনের সকল বিভাগের শ্রেণিকক্ষ, ওয়াসরুম, সেমিনার, সিড়িসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা কাগজ, পলিথিন পরিষ্কার করা হয়।

এছাড়াও ক্যাম্পেইনে আরো উপন্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির সদস্যবৃন্দসহ স্বেচ্ছাসেবী ৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী।

নয়া শতাব্দী/জেআই