ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুলে ভরা জবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশনার সময়: ১৯ জুলাই ২০২২, ১৯:০৬

'অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবাদস্বরূপ আলাদা প্রেসবিজ্ঞপ্তি ও প্রতিবাদলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৮ জুলাই) প্রকাশিত সেসব বিজ্ঞপ্তিতেই খোদ 'বিজ্ঞপ্তি' এবং 'বিশ্ববিদ্যালয়' সহ বেশকিছু বানান ভুলে পরিপূর্ণ। যার ফলে উল্টো শিক্ষক সমিতির সেই বিজ্ঞপ্তিগুলো ঘিরেই তৈরি হয়েছে হাস্যরস।

জানা যায়, গত ১৭ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। অথচ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় নির্বাচনে জয় লাভ করলে প্রশাসনিক কোন পদ এমনকি ডিন ও চেয়ারম্যান পদ নিবেন না বলে অঙ্গীকার করে নীল দল (একাংশ)।

তবে নির্বাচনে জয় লাভের পর মাত্র ৬ মাসের মাথায় অঙ্গীকার ভঙ্গ করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ করলে তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।

তবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর বিষয়টির প্রতিবাদস্বরূপ আলাদা প্রেসবিজ্ঞপ্তি ও প্রতিবাদবিজ্ঞপ্তি (প্রতিবাদলিপি) প্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে খেয়াল করে দেখা যায় সেখানে অধিকাংশ বানানই ভুল।

প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি উভয় জায়গাতেই বিজ্ঞপ্তির স্থলে লেখা হয়েছে 'বিজ্ঞত্তি' যার কোন শাব্দিক অর্থ নেই। অপরদিকে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তির সপ্তম লাইনে 'এখতিয়ার' বানানটি ভুল করে লেখা হয়েছে 'এথতিয়ার', সতেরো নাম্বার লাইনে 'বিশ্ববিদ্যালয়ের' বানান ভুল করে লেখা হয়েছে 'বিশ্ববিদ্যালযয়ের'।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে আরও বেশ কিছু ভুল। প্রেস বিজ্ঞপ্তির পঞ্চম লাইনে 'এখতিয়ারভুক্ত' বানানের জায়গায় লেখা হয়েছে 'এক্তিয়ারভুক্ত', সপ্তম লাইনে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫' লেখা হয়েছে যেখানে 'আইন' কথাটির পর কমা দিতে হয়। বিজ্ঞপ্তির নবম লাইনে 'পদ সমূহের' কথাটির জায়গায় লেখা হয়েছে 'পথ সমূহের', দশম লাইনে 'জনসম্মুখের' বানানের জায়গায় লেখা হয়েছে 'জনসম্মুক্ষে'।

এছাড়াও সপ্তম লাইনে 'প্রভোস্ট' এর জায়গায় লেখা হয়েছে 'প্রভোষ্ট' এগারো নাম্বার লাইনে 'পরিবেশন করে' কথাটির জায়গায় লেখা হয়েছে 'পরিবেশন পরে'।

এদিকে খোদ শিক্ষক সমিতির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এত বানান ভুলের বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে হাস্যরসের। ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মৌলিক ও একাডেমিক জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ