ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের নেতা অমিত ভৌমিক।
হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক বাদী হয়ে গত রবিবার (১আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তে রয়েছেন শাহবাগ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আরিফুল ইসলাম অপু।
মামলার বিষয়টি বাদী অমিত ভৌমিকই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষক কার্জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ এবং ৩১ ধারায় মামলা করেছি। গত শনিবার (৩১জুলাই) রাতেই মামলা করি। তবে শাহবাগ থানার ওসি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থাকায় মামলাটি গতকাল রবিবার (১আগস্ট) ইস্যু করা হয়েছে। আর ২ আগস্ট বিকালে আমরা মামলার কপি গ্রহণ করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক কার্জন নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে মদ ও দুধ-সম্পর্কিত বহুল প্রচলিত একটি কৌতুক শেয়ার করেন। এই পোস্টকেই কেন্দ্র করে মূলত তার বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়। এরপর দিন ২৪ জুলাই দুপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হাফিজুর রহমান কার্জনের পদত্যাগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ। থানায় জিডি হওয়ার পর অধ্যাপক কার্জন পোস্টটি ডিলেট করে দেন এবং ক্ষমা চান।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছি। মামলাটি অবশ্যই সৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি। এটি নিয়ে জিডি হওয়ার পর আমি ফেসবুক পোস্টটা সরিয়ে ফেললাম। তারপর ক্ষমা প্রার্থনা করলাম। ক্ষমা চাওয়ার পর আমার মনে হলো সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে। মামলা যেহেতু হয়েছে আমাকে মোকাবিলা করতে হবে।
‘আমি আইনের শিক্ষক হিসেবে আইনের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে এর আগে মিউচুয়ালিও সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর নয়ত আমি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ