যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা সরঞ্জামাদি, শিক্ষা ও শিক্ষণ উপকরণ, গবেষণা অনুদানে বিশেষ বরাদ্দ দেয়ায় ঘোষিত বাজেটে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৮০তম বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ এ বাজেট প্রস্তাব করেন। বাজেট উত্থাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা তাদের মতামত ও সুপারিশ দেন। পরবর্তীতে তা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে অংশ নেন।
যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ বাজেট বক্তব্যে বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাজেটের আকার ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ৭৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় এখন ঈর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারগারগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এ জন্য গবেষণা সরঞ্জামাদি, শিক্ষা ও শিক্ষণ উপকরণ এবং গবেষণা খাতে বিশেষ বরাদ্দ দিতে গিয়ে ঘাটতি বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের গতি মন্থর হবে। আশা করি, এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলে সদয় দৃষ্টি দেবেন। আমার বিশ্বাস, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই এই অর্থ যথাযথ ব্যবহার করে আমাদের এই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হবেন।যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ