অনেকেই প্রশ্ন করে আমরা আওয়ামী লীগ কেন করি? আমরা আওয়ামী লীগ সমর্থন করি অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতার সাথে আপোষ করলে আমরা কষ্ট পাই। একটি দেশ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে কখনোই উন্নত হতে পারে না। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় সফলতা বাঙ্গালির মতো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। রেসকোর্সের সেই জ্বালাময়ী ভাষণ ঐক্যবদ্ধ করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বুধবার (২২ জুন) চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক এক সেমিনারে স্মারক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন চবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য আপোষ করা। একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একনিষ্ঠভাবে লড়াই করার শক্তি অনেক রাজনৈতিক নেতার নেই। কিন্তু এতো রাজনীতিবিদদের ভীড়ে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু একমাত্র ব্যক্তি যার জীবনে আপোষ নেই। তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মুক্তির জন্য সকল নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে এবং দেশের মানুষকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে রাখতে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাধীনতার পর অল্প সময়ের মধ্যে তিনি দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে পেয়েছিলেন অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা। তাইতো বিশ্বের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম বিশ্ব নেতা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সানসাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চবি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকী। এছাড়া বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজনীন নাহাট ইসলাম, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ