প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) বাকৃবির কৃষি অনুষদের করিডোরে প্রায় ১৮ ধরণের ফলের সমাহার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিমুখ ওই উৎসবের আয়োজন করে। ওই ফল উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আগমনে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানটির জন্যে রাজশাহী থেকে আম, দিনাজপুর থেকে লিচু ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, জাম, করমচা, জামরুল, তরমুজ, তেঁতুল, কলা, আনারস, পেঁপে, তালের শাস, ডালিম এবং লটকন সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রায় বিশ প্রজাতির গ্রীষ্মের ফলের প্রদর্শন করা হয়।
দুটি প্যান্ডেল সাজানো হয়, যার একটিতে ফলের জুস অন্যটিতে কাটা ফল বিক্রির জন্য রাখা হয়। এছাড়া মৌসুমি ফলের উপকারিতা ও ফলের পুষ্টিগুণাগুণ নিয়ে বিভিন্ন সচেতনামূলক লিফলেট টানানো হয়।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা। এছাড়াও হাসিমুখের সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
হাসিমুখের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরাই প্রথম মধুমাস উদযাপন করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংগঠনটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এবার এই উৎসবটির মাধ্যমে অর্জিত সম্পূর্ণ লভ্যাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য ব্যয় করা করবো।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ