ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবি দর্শন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ৩০ মে ২০২২, ১৫:০২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগে অধ্যাপক পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে অবমূল্যায়ন করা হয় ওই পদের যোগ্য প্রার্থীকে।

জানা গেছে, দর্শন বিভাগের কিছু শিক্ষকের অনুরোধে যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে সুপারিশ করেছে নিয়োগ বোর্ড। আর এতে লঙ্ঘিত হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

এর আগে, গত বছরের ৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দর্শন বিভাগের স্থায়ী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেন। যা গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১১ মে ঢাবির দর্শন বিভাগে অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য একটি সিলেকশন বোর্ড বসে। সেখানে মোট ৪ জনকে সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের পিএইচডি গবেষক ও সহযোগী অধ্যাপক মোছা. রেবেকা সুলতানা, মোহাম্মদ দাউদ খান ও মুহাম্মদ ইউনুসকে সুপারিশ করা হয়।

তবে পরবর্তীতে গত ২৬ মে ঢাবির দর্শন বিভাগের কিছু শিক্ষকের অনুরোধে আবার একটি রিভিউ সিলেকশন বোর্ড আহ্বান করেন কর্তৃপক্ষ। যেখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তুলনামূলক ‘অধিকতর যোগ্য’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে বাদ দেওয়া হয় এবং বাকি তিনজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এদিকে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে বাদ দিয়ে যাদেরকে সুপারিশ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এর মধ্যে রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এছাড়া তার গবেষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপত্তিকর তথ্য প্রদানের অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ দাউদ খানের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তিনি পিএইচডি থিসিসে বিভিন্ন বিষয়ে উৎস উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া রিভিউ সিলেকশন বোর্ডের আরেক প্রার্থী মুহাম্মদ ইউনুস। যিনি ২০০৭/২০০৮ সালে ভারতে সন্ত্রাসী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার পিএইচডি না থাকলেও যোগ্যতা শিথিল করে অধ্যাপক পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

বিতর্কিত এসব ব্যক্তিদের তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহল। এছাড়া ব্যক্তি আক্রোশের মুখে ফেলে যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হারুন রশীদ বলেন, ‘আগে একটা সিলেকশন বোর্ড বসেছিলো। পরবর্তীতে কিছু আপত্তির ভিত্তিতে আবারো রিভিউ বোর্ড আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ থাকার কারণে।’

তবে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে আসলে কি অভিযোগ রয়েছে তার সু স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি অধ্যাপক হারুন রশীদ। অন্যদিকে সুপারিশকৃত অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে এ ব্যাপারে তাকে অবহিত করলে তিনি জানান, ‘অন্য প্রার্থীদের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।’

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ