কাগজের বইয়ের চেয়ে ডিজিটাল পাঠ্যক্রম অধিক কার্যকর একটি উপায় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
বুধবার (২৮ জুলাই) প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত ‘হ্যাকাথন উৎসব ২০২১’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী জানান, ‘৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে। আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফ্রি ওয়াইফাই জোন করার কাজ চলছে।’
করোনাকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে শতভাগ বিটিএস ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে বলেও বলেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তির নাম হচ্ছে ডিজিটাল শক্তি। শিশুদের শিক্ষা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের জন্য আজ এটি অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং ও ম্যাথ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী হিসেবে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে না পারলে তারা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না। দেশের ছেলে-মেয়েরা রোবট বানাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটছে। দেশ এখন ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) যুগে প্রবেশ করছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিও এখন সময়ের ব্যাপার, যা দিয়ে অপারেটর ছাড়াই কথা বলা যাবে। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।’
এরপর বিস্ময়কর কী প্রযুক্তি আসে বলা কঠিন বলে মন্তব্য করেন কম্পিউটারে বাংলা ফ্রন্টের এই উদ্ভাবক।
নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল যুগে বসবাস করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে শিক্ষায় আমূল রূপান্তর হয়েছে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে গড়ে তোলার এখন সময় এসেছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘শিক্ষার্থী তার ডিভাইস থেকে ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে সহজে শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম। ডিজিটাল কন্টেন্ট মানে পাওয়ার পয়েন্ট না।’
উন্নত দেশগুলোর শিক্ষার ডিজিটাল কন্টেন্টের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি এন্ড্রয়েড টিভি ও পেনড্রাইভে রাখা ডিজিটাল কন্টেন্ট দিয়ে সহজে শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল করা সম্ভব।’
প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রেজাউল করিম বক্তৃতা করেন।
নয়া শতাব্দ/জেআই/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ