ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
হল প্রভোস্টের প্রশ্ন

খাবারের মান বাজে হলে শিক্ষার্থীরা খায় কেনো?

প্রকাশনার সময়: ২১ মে ২০২২, ১৪:১৭

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) অগ্নিবীণা হলের খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ হল প্রশাসনকে বলেও পাওয়া যায়নি স্থায়ী সমাধান। অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের হলেও ২০-২৫ শতাংশ বেশি মূল্য দিয়ে খেতে হচ্ছে হোটেলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্নিবীণা হলের খাবারের মান একদম বাজে। নেই কোনো খাবারের তালিকা। নেই কোনো খাবারের স্বাদ।সকাল, দুপুর, রাত, তিন বেলাতেই পরিবেশন করা হচ্ছে একই ধরনের খাবার। প্রতিদিনই থাকছে পোল্ট্রি মুরগি, ডিম ভুনা, ডাল ভুনা, মাছ ভাজি, আলু ভর্তা। পোল্ট্রি মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলানোর পরিবর্তে সেগুলো দিয়ে রান্না করা হচ্ছে লটপটি। ফ্রি ডালে মেলে না ডালের ছিটাফোঁটা। ডাল যেন হলুদ আর পানির মিশ্রণ। পরিমিতভাবে সিদ্ধ হয় না কোনো খাবারই। দাম কিছুটা কম হলেও নিম্নমানের এসব খাবার খেয়ে নিত্যদিন ডায়রিয়া, এসিডিটি ও পেট ব্যথায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কারেন্ট চলে গেলে ক্যান্টিনে নেই কোনো আলোর বিকল্প ব্যবস্থা। হলের ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমান নিয়ে হল প্রভোস্টের নেই কোনো পদক্ষেপ। অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে এসব মানহীন খাবার। হলে প্রায়ই পানি থাকে না, গ্যাসলাইনের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে, ওয়াশরুমের দূর্গন্ধে আশেপাশে যাওয়া দুষ্কর। হলের অধিকাংশ রুমের আসবাবপত্র নাই। যেগুলো আছে সেগুলোও ব্যবহার উপযোগী না। হল প্রভোস্টকে বারবার জানানোর পরও এসব নিয়ে হল প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় নি।’

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এরশাদ আবির বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ যাবৎ হলের দোতলার দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে তিনটি গোসলখানা ব্যবহারের অনুপযোগী এবং প্রথম দুটি গোসলখানায় পানি জ্যাম হয়ে থাকে। হল প্রভোস্ট ও সুইপারদের বেশ কয়েকবার জানানো হলেও এখনো মেলেনি সমস্যার সমাধান।’

অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, ‘হল সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কোনো অর্থ নেই। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাজেটের জন্য নথি পাঠিয়েছি, সেটা এখনো আটকে আছে।’

এছাড়া খাবারের মান নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রিবীণা হল ব্যতীত বাকি সব হলের ক্যান্টিন এখনো বন্ধ। অগ্নিবীণা হলে মোট আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় ২৪০ জন। হল ক্যান্টিনে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০০-২৫০০ জন শিক্ষার্থী খাবার খায়। খাবারের মান বাজে হলে এত বেশি শিক্ষার্থী খায় কেনো?

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ