ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশনার সময়: ০৭ মে ২০২২, ১১:২২

আগামী ৯মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আয়োজনের নানান প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই আয়োজনের প্রথম পর্ব সোমবার (৯ মে) ও দ্বিতীয় পর্ব বুধবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বিশিষ্টজনরা।

জানা গেছে, আগামী ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবস এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাংসদ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. কাউসার আহাম্মদ উপস্থিত থাকবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে দুপুরে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, উন্নয়ন, গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) রাজধানী ঢাকা থেকে ১০০ কি.মি এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ২২কি.মি দূরে অবস্থিত বিদ্রোহী কবির স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়া বটতলায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।এটি ময়মনসিংহ বিভাগ -এ প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯মে প্রতিষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ছয়টি অনুষদভুক্ত ২৪টি বিভাগ, প্রায় ৮৩৪০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ৩৯ জন ডক্টরেট শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

৫৭ একরে প্রতিষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে চারটি অ্যাকাডেমিক ভবন। ভবনগুলো হলো -কলাভবন, বিজ্ঞান ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, ব্যবসায় প্রশাসন ভবন এবং পাঁচতলাবিশিষ্ট আধুনিক ও সু-সজ্জিত 'কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার'।

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চারটি আবাসিক হল। ছাত্রদের জন্য অগ্নি-বীণা হল ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং ছাত্রীদের জন্য দোলনচাঁপা হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।

সাংস্কৃতিক মননে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাবছর-ই উৎসবের আমেজ লেগে থাকে। প্রতিবছর-ই এখানে নজরুল জয়ন্তী, রবীন্দ্র জয়ন্তী ও বারামখানা'র উদ্যোগে লালন স্মরণোৎসব পালিত হয়। মাসব্যাপী নাট্যোসব, চলচ্চিত্র উৎসব, পিঠা উৎসব, নজরুল বইমেলা, কুয়াশা উৎসব অন্যতম আকর্ষণীয় দিক। বিশেষত ভিন্ন আমেজের কুয়াশা উৎসব এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য, নজরুল ভাস্কর্য এবং জয় বাংলা ভাস্কর্য।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উল্লেখযোগ্য গবেষণার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কক্সবাজারে উচ্চামাত্রার ইউরেনিয়ামের সন্ধান।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ