ফলাফল নিয়ে চরম হাতাশা ও ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
স্নাতম সম্মান (২০১৫-১৬) সেশনের চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা গত ৭ মার্চ শেষ হয়। ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য সামাজকর্ম বিভাগের ভাইবা আটকে গেলেও বাকি বিভাগগুলোর ভাইবা মার্চেই শেষ হয়। ২৭ মে পরিসংখ্যান বিভাগের ফলাফল প্রকাশ হলেও গত চারমাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ১০ বিভাগের ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছে।
জানা যায় , ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয় অধিভুক্ত সাত কলেজে ২২টি বিভাগে স্নাতম সম্মান কোর্স চালু রয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ লাখ ১৬হাজার শিক্ষার্থীর ফলাফল কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ২১ জুলাই প্রকাশ করেছে এবং ২৬ জুলাই সিজিপিএ সমন্বয় করে ফলাফল প্রকাশ করেছে।
অপরদিকে সাত কলেজের ফলাফল প্রকাশিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফলাফল পেয়েও সব বিষয়ে পাস থাকা সত্যেও সিজিপিএ সমন্বয় করতে পারছেন না।
একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশের পরে সিজিপিএ সমন্বয় করা হবে। যে কারণে ফলাফল পেয়েও সিজিপিএ সমন্বয়ের অভাবে কোন চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আরো বলেন, ৪ বছরের অনার্স কোর্স ৬ বছরেরও অধিক সময় নিয়ে শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে পরীক্ষা হওয়ার কথা হলেও সেটি হয়েছে ২০২১ সালে। যে কারণে আমাদের জীবন থেকে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ২ বছরেরও অধিক সময় চলে গেছে। এই অবস্থায় দ্রত ফলাফল প্রকাশ করা হলে আমরা আমাদের জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারতাম।
ফলাফল সমন্বয় অনলাইন সিস্টেম চালু করার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফলাফল সমন্বয়ে ঢাবি এবং কলেজে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। আবেদন করলে আবার দেখা যায় কারোর ২ মাস কারোর ৪ মাস ও লাগে। আবার আবেদনও করা যাচ্ছে না সব ডিপার্টমেন্ট ফলাফল না দিলে। এজন্য সিজিপিএ সমন্বয় এবং ফলাফল পুনঃ নিরীক্ষণ সিষ্টেমও চালু করা হোক অনলাইনে। এতে করে অনেক ভোগান্তি লাগব হবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ