সহকারী জজ পদে ধারাবাহিক সফলতা ধরে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। চতুর্দশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিজেএস) সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন আইন বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে ফলাফল জানা যায়। প্রকাশিত ফলাফলে মোট ১০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জবির আইন বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন।
উত্তীর্ণরা হলেন ২০১৪-১৫ সেশনের রফিকুল ইসলাম (২১ তম) ও ফাহমিনা খন্দকার আন্না (৬৫তম), ২০১৩-১৪ সেশনের আনারুল ইসলাম মানিক (১১ তম), মো. আবুল আলা মওদুদী (৭৪ তম) ও রায়হানুল হাসান চৌধুরী (৯১ তম) এবং ২০১০-১১ সেশনের নাসির উদ্দীন।
সুপারিশপ্রাপ্ত ২০১৪-১৫ সেশনের ফাহমিনা খন্দকার আন্না বলেন, আমি সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এটি ভেবে যে আমার নামের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামটিও উচ্চারিত হচ্ছে। আমার বিভাগের শিক্ষকরাই আমাকে আইনের শিক্ষা দিয়েছেন ও আমাকে বুঝতে শিখিয়েছেন যে 'আইনই জীবন'। আমার এই অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার পরিবারের। বিয়ের পরে আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অসাধারণ সাপোর্ট আমাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। সমাজে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে চাই।
২০১৩-১৪ সেশনের রায়হানুল হাসান চৌধুরী বলেন, শুধু জলের দিকে তাকিয়ে থাকলে যেমন সাগর পাড়ি দেয়া হয় না, ঠিক তেমনি জীবনের কাঙ্খিত সাফল্যের ছোঁয়া পেতে শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না। সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করছি উনি আমাকে সম্মানিত করেছেন। এই সাফল্য বাবাকে উৎসর্গ করলাম। বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সরকার আলী আক্কাস স্যারকে। পথ দেখানো ও অনুপ্রাণিত করার জন্য অগ্রজদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে পড়াশোনা করছে৷ সে হিসেবে এই সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা হলে তারা আরও ভালো করবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবেই সফলতা অর্জন করছে। এই মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশ ধারাবাহিক। সব জায়গাতেই ভালো করছে। নানান সংকটের মধ্যেও তাদের এই অর্জন অব্যাহত আছে। অদূর ভবিষ্যতে এই অর্জন আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ