ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

র‌্যাগিংয়ে শাস্তি দেয়ায় প্রভোস্টের রুমে তালা 

প্রকাশনার সময়: ২৭ মার্চ ২০২২, ১৯:৫৪

হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) অগ্নিবীনা ছাত্র হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে গত সোমবার (২১ মার্চ) তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৭ মার্চ) বেলা ৪টা পর্যন্ত সেই কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবসে এই হলের নানা আয়োজন থাকলেও প্রাধ্যক্ষের অফিসে ঢুকতে পারেননি প্রাধ্যক্ষ। হল সুপারের অফিসে বসেই এসব আয়োজনে অংশ নেয় হল কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, শৃঙ্খলা কমিটিতে নেয়া চার শিক্ষার্থীর অগ্নিবীনা হলের আসন বাতিলের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির একটি সভায় শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে কে র‍্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এছাড়াও হলের চার আবাসিক শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিতে সভাপতি ছিলেন হল প্রাধ্যক্ষ্য কল্যাণাংশু নাহা। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার যথার্থ প্রতিফলন না ঘটার অভিযোগ এনে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এছাড়াও দায়িত্বের প্রতি এই হল প্রশাসকের অনীহা নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

আবাসিক শিক্ষার্থী তানজীম হাসান বলেন, প্রাধ্যক্ষ নিয়োগপত্রে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার কথা উল্লেখ থাকলেও তিনি ময়ময়নসিংহ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, যদিও গত কিছুদিন থেকে তিনি ক্যাম্পাসে থাকছেন। হলের ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমান নিয়ে তার কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। হলে প্রায়ই পানি থাকে না, গ্যাসলাইনের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে, ওয়াশরুমের দুর্গন্ধে আশেপাশে যাওয়া দুষ্কর। হলের অধিকাংশ রুমের আসবাবপত্র নাই। যেগুলো আছে সেগুলোও ব্যবহার উপযোগী না। এসব নিয়ে হল প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।

এ বিষয়ে অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার অফিসে তালা দিয়েছে।জানালার কাচও ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে কোনো দাবি আমি পাইনি। তবে আমি নিজে খোঁজ নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হলো, ১২ই মার্চ সাগরকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে ২০ মার্চ শৃঙ্খলা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেয় তাতে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ড যেন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সে দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হল প্রশাসন এই প্রশ্নটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে করতে পারে না, জানাতে পারে। আমরা সেটি জানিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কক্ষে তালা দেয়ার বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা প্রশাসনিকভাবে কতদূর এগিয়েছে জানি না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর এ বিষয়ে উপাচার্য স্যার বলেছেন, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হল প্রশাসন দেখবে, প্রক্টরিয়াল বডির এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ