২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেল পাঁচটায় ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কুরআন এবং গীতা পাঠ শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন-প্রায় দুই বছরের মত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিলো। কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি, এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের একটা গ্যাপ তৈরী হয়ে গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই যোগাযোগের গ্যাপটা দূর করার জন্যই এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং গানের দলগুলো পারফর্ম করবেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার বন্ধন আরও শক্তিশালী হবে বলে আমি মনে করছি।
অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব সিজান এবং ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ ফারিহার সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দলীয় দলীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিরুদ্ধ নাট্যদল, কণ্ঠস্বর আবৃত্তি দল ও পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যদের সমন্বয়ে গান পরিবেশন করা হয়।
মাগরিবের আযানের শেষে কণ্ঠস্বর আবৃত্তি দলের দলীয় পরিবেশনা ‘ইতি ১৯৭১’ পরিবেশিত হয়। পাস্ট ড্যান্স ক্লাবের নৃত্য পরিবেশনের পর পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি ‘স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা’ প্ল্যানচেট ডিবেট পরিবেশন করেন। এরপর মঞ্চে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যদল অনিরুদ্ধ নাট্যদল। চলমান দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি নিয়ে রচিত ‘ত্রাসের ঘর’ নাটক দর্শকের মনে ছুঁয়ে নেয়।
সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পরিবেশনা শেষে দর্শকদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে মঞ্চে এক এক করে গান পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড দল জবা ফুল, ডিসটিউন ও স্কেচ।
শিক্ষার্থীদের ছাড়াও অনুষ্ঠান দেখতে আসতে দেখা গেছে শিক্ষকদেরকেও। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড। সাইফুল ইসলামকে, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড। মো: হাবিবুল্লাহকে, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক্ক ড। সমীরণ কুমার সাহাসহ আরো অনেক শিক্ষক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে আসতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অনুষ্ঠানে দেখতে আসতে দেখা গিয়েছে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অয়ন আলমাস ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, অনেক দিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রকম বড় একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে খুবই আনন্দ লাগছে। পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিতেই হয় এইরকম একটা প্রোগ্রামের আয়োজন করার জন্য।
পরিবেশ ও ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন- অনেক দিন পর মনে হচ্ছে ক্যাম্পাসে প্রাণ ফিরে এসেছে। সবাই এসেছে, সংগঠনগুলো পারফর্ম করছে। খুবই আনন্দ লাগছে আমার কাছে।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ