আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়ার মতো ভিত্তিপ্রস্তরের রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মিলিত হল সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিটি মেয়র বলেন, ‘মাননীয় নেত্রী আমাদের যেভাবে গাইড করে নিয়ে এসেছেন এবং দেশে যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদেরকে বোঝানোর কোনো দরকার নেই। আমরা খালেদা জিয়ার মতো শুধুমাত্র ভিত্তিপ্রস্তের রাজনীতি করিনা। আমরা যেমন ভিত্তিপ্রস্তর দেই ঠিক আনুষ্ঠানিকভাবে সেটার উন্মোচন করি।’
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন এই স্বাধীনতায় পূর্ব পাকিস্তানের কোন লাভ হবে না। ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ সৃষ্টি করেন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রত্যেকটি লড়াই, আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘হল সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী, ছাত্রবান্ধব নেতা উঠে আসবে। যারা নিজের জন্য কাজ না করে শিক্ষার্থীদের জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে। আমরা এমন কোনো কাজ করবো না যাতে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য বলেন, ‘আগমীতে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নামার চেষ্টা করছে। তারা খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ। সারা দেশে তাদের সকল নেতাকর্মীর চেয়ে আমাদের এক ইউনিটের কর্মী বেশি রয়েছে। তাই তাদের শক্তভাবে মোকাবেলা করতে। একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে চতুর্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রী বানানো আশা ব্যক্ত করেন ’
এর আগে দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে জাতীয় ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সম্মেলনে শোক প্রস্তাব পাঠ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং ছাত্রলীগের শহীদ ও প্রয়াত নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খালিদ হাসান নয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, আহসান হাবীব বাপ্পী, শফি আজাদ বান্টি ও প্রদীপ কুমার সাহা পিংকু, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ