ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
র‍্যাগিংয়ের বিচার দাবি 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশনার সময়: ১৩ মার্চ ২০২২, ২২:২২

ছাত্রলীগের কোরাম রাজনীতি না করার কারণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতে আবারো সিনিয়র ছাত্রের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে।

রোববার ( ১৩মার্চ) এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবং নির্যাতনকারী সৌমিক জাহানের ( চারুকলা বিভাগ) স্থায়ী বহিষ্কার কামনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কার করার দাবিতে আন্দোলন করছি। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় প্রশাসনের যে বিচার দেখলাম তা খুবই দুঃখজনক। এজন্য স্থায়ী বহিষ্কার করলে পরবর্তীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। আর সাগর চন্দ্র এর সকল চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করতে হবে।

আন্দোলনকারীরা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু বিচার না করা পর্যন্ত আমরা সকল ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করলাম।

এই সময় ছাত্র উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকার বলেন, আইনগতভাবে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা যায় না। আর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নং কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী সাগর চন্দ্র দে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

শনিবার রাতে হাসপাতালে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাগর চন্দ্র বলেন, এদিন বিকেলে ওই কক্ষে আমাকে রোলিং চেয়ারে জোর করে বসিয়ে ঘোরাতে থাকেন চারুকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান। এ সময় তাকে বারবার থামাতে বললেও কর্ণপাত না করে অনবরত চেয়ারটি জোরে ঘোরাতে থাকে। একপর্যায়ে চেয়ারটি উল্টে গিয়ে পড়ে যাই। এতে মাথায়, নাকে-মুখে মারাত্মক আঘাত পাই। এ সময় দুটি দাত ভেঙে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেন সৌমিক। এমনকি আমার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখেন সৌমিক।

তিনি আরো বলেন, আমাকে অত্যাচার করার পর আমার মোবাইলটি বারবার চাইলেও আমাকে দিতে চায়নি। তবু অনেক চেষ্টার পর মোবাইলটি নিয়ে হাশর ভাইকে মেসেঞ্জারে একটি ছবি পাঠাই এবং লিখি, ‘ভাই আমি তো শেষ, রুম নম্বর ২০৪, অগ্নিবীণা হল। তাড়াতাড়ি আসেন।’ এরপর ৫ মিনিট পর এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সৌমিক জাহানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নির্যাতনের এই ঘটনায় ইরফান আজিজকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অগ্নিবীণা হল প্রশাসন। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ