ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট ছদ্মনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত ও আদর্শচ্যুত করতে তৎপর বলে দাবি করেছেন কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা।
শনিবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় তাদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রো-ভিসি ও আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এ মালেক। অনুমোদনের পরপরই বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট নামে একটি সংগঠন ত্মপ্রকাশ করে। এ কমিটিকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র থেকে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। এতে এ কমিটি কেন্দ্রীয় কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও জানানো হয়। তবুও তারা কার্যক্রম চলমান রাখে।
সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক ইউনিট নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক নেতাদেরও নাম আসে। ফলে বিষয়টি নিয়ে তারা আপত্তি প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
আগামী ১৪ মার্চ শিক্ষক ইউনিটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরকার মাসুমসহ পারিষদের অন্যান্য সদস্যরা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজটাই এমন নির্বাচন করে কমিটি গঠন করে সেটা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবারেও তাই হচ্ছে। এখানে অনুমোদনের কোনো বিষয় নেই। গত বছর যে ভোটার লিস্ট ছিল সেখানে কোনো আপত্তি আসেনি, এবারো একই ভোটার লিস্ট কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। ফরমাল এখনো কোনো আপত্তি না আসায় আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছি।
লিখিত বক্তব্যে ড. আরফিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের গতিধারা ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অর্জনসমূহকে নস্যাৎ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ উদ্দেশ্যে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করার মানসে ক্যাম্পাস পরিমণ্ডলে একটি অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধালোভী চক্র অপচেষ্টায় লিপ্ত। চক্রটি ছদ্মনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত ও আদর্শচ্যুত করতেও তৎপর।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা চক্রটির অশুভ ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আহ্বান জানাাচ্ছি। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধালোভী মহলকে অশুভ তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এমন তৎপরতা ক্যাম্পাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে যা বঙ্গবন্ধু পরিষদের নীতি ও আদর্শের সাথে সম্পূণরূপে সাংঘর্ষিক এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ