২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে অঞ্চলভিত্তিক সংগঠনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের আদেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সভা-সমাবেশ ও জমায়েত বন্ধের নির্দেশনা দেয়। প্রশাসনের এই নির্দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ মনগড়া। যার কোন যথাযথ কারণ নেই। অঞ্চল ভিত্তিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রকল্যাণ সংগঠন থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রাখতে আঞ্চলিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয় মানে ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মানে বৈশ্বিক একটা বিষয়। একটা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাদের নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়, একে অপরকে জানতে পারে। অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা আর্থিক সুবিধাও পেয়ে থাকে। অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন অবশ্যই দরকার আছে।
জবি ছাত্রদল নেতা হিমেল বলেন, অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রকল্যাণ হলো
ছাত্র ইউনিয়নের রুহুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ সংগঠন অবশ্যই দরকার আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, অঞ্চলভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ সংগঠন গুলো তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে, তবে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার সমাবেশ করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ছাত্রকল্যাণ সংগঠন গুলো তাদের কার্যক্রম ক্যাম্পাসের বাইরে চলমান রাখবে। ইদানীং ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কমিটি হচ্ছে, এটা নিয়ে আন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকল কার্যক্রম বাইরে চলমান রাখবে আঞ্চলিক সংগঠন গুলো।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ