ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষায় এগিয়ে যেতে মাতৃভাষায় শেখাটা জরুরি : শিক্ষামন্ত্রী 

প্রকাশনার সময়: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৫২ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৫১

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা আগের তিনটি বিপ্লব ধরতে পারিনি। এইবার আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধরতেই হবে। এই শিল্প বিপ্লব ধরতে আমাদেরকে মাতৃভাষার শেখাটা জরুরি।

সোমবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলন : ইতিহাস বাস্তবতা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। তার সঙ্গে আসবে ভৌত অবকাঠামো মহাপরিকল্পনা। এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আগের তিনটি বিপ্লব ধরতে পারিনি এইবার আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধরতেই হবে। এই শিল্প বিপ্লব ধরতে আমাদেরকে মায়ের ভাষা অর্থাৎ আমাদের মাতৃভাষার শেখাটা জরুরি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, দেশে নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। তবে আমাদের সবাইকে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। শিক্ষার মানের ওপর নজর দিতে পারলে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যেতে পারব।

মন্ত্রী আরও বলেন,দেশে মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পাইলটিং শুরু হচ্ছে। আগামী মার্চে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে সেটা হবে আনন্দময়। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে এ শিক্ষাক্রমে শিখতে পারবে। তারা সমাজকে এবং শিক্ষকদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিখবে। তবে শিক্ষার্থীদের শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠলেই চলবেনা, পাশাপাশি তাদের ভালো মানুষ হতে হবে।

আলোচনা সভায় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, যখন কোন দিবস আসে তখন সেটা নিয়ে আলোচনা করি, তারপর ভুলে যাই। আমরা যেন সারাবছর এ বিষয়টি (মাতৃভাষা) নিয়ে আলোচনা করি। শুনেছি এখন থেকে রায় বাংলায় লেখা হবে। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক অর্জন। এখন সবাই নিজের ভাষায় তাদের রায় পড়তে পারবে।

জবি ট্রেজারার অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে শাহজালাল বিমান বন্দর নামটা আরবিতে লেখা ছিল। তখন ধর্মের সঙ্গে ভাষার একটা ব্যবহারের চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তাকেও ভাষা আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ